রোগীর সেবা করা

চতুর্থ শ্রেণি (প্রাথমিক) - ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা আখলাক | - | NCTB BOOK
498
498

আমাদের বাড়িতে আব্বা-আম্মা, দাদা-দাদি, ভাইবোন আছেন। বাড়ির আশেপাশে প্রতিবেশীরা আছেন। বিদ্যালয়ে সহপাঠীরা আছে। আত্মীয়- স্বজন ও খেলার সাথি আছে।

আমাদের মধ্যে কারও জ্বর হয়। নানা রকমের রোগ হয়। অসুখ হয়। আমরা বিভিন্ন সময়ে অসুস্থ হয়ে যাই। শরীর দুর্বল হয়ে যায়। অসহায় বোধ করি। জ্বর হলে ভীষণ খারাপ লাগে। কোনো কিছু খেতে ভালো লাগে না। তখন চিকিৎসার দরকার। ডাক্তার ডাকা দরকার। সেবাযত্নের প্রয়োজন। জ্বর হলে মাথায় পানি দেওয়া প্রয়োজন। জ্বরের মাত্রা বেশি হলে সমস্ত শরীর ভেজা কাপড় দিয়ে মুছিয়ে দিতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খেতে হবে। রোগীর সেবা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ রোগ ভালো হয়ে যাবে। রোগ থেকে মুক্তি পাবে।

অসুখ-বিসুখ ও রোগশোক আল্লাহর পক্ষ থেকে মুমিনের জন্য একটি পরীক্ষা। রোগীর সেবা করতে হবে। চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। মহানবি (স) সবসময় রোগীর সেবা করতেন।

মহানবি (স) বলেছেন, আর না ;; " অর্থ, তোমরা রোগীর সেবা কর।

ফুয়াদ খুব ভালো ছেলে। একবার তার আম্মার ভীষণ জ্বর হলো। বাসায় আর কেউ নেই। সে তার আম্মার চিকিৎসার জন্য ডাক্তার ডেকে নিয়ে আসলো। ডাক্তার সাহেব তার আম্মাকে। 

অসুস্থ মাকে সেবা করছে

পরীক্ষা করে বলল, “ফুয়াদ, তোমার আম্মার মাথায় পানি দাও। আর এই ওষুধ সময়মতো খাওয়াবে। ইনশাআল্লাহ ভালো হয়ে যাবে।” ফুয়াদ সময়মতো তার আম্মাকে ওষুধ খাওয়াল। মাথায় পানি দিল। আল্লাহর কাছে তার আম্মার আরোগ্য লাভের জন্য দোয়া করল। আল্লাহর রহমতে তার আম্মা সুস্থ হয়ে উঠলেন। ফুয়াদ আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করল।

আমরা রোগীর সেবাযত্ন করব, তার খোঁজখবর নেব, আল্লাহর কাছে আরোগ্যের জন্য দোয়া করব।

পরিকল্পিত কাজ: কী কী উপায়ে রোগীর সেবা করা যায় শিক্ষার্থীরা তা খাতায় লিখবে।
common.content_added_by
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion